সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সুত্রের খবর নেতাদের দ্বন্দ্বে আটকে আছে জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি। জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মনিরুল ইসলাম রবি ও সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদের দ্বদ্বে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের করা মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদ মিছিল হয়নি। গত ২ নভেম্বর সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাং রোর্ড এলাকায় জেলা বিএনপির ব্যানারে প্রতিবাদ মিছিল হওয়ার কথা ছিলো। তাদের দ্বন্দ্বে ফতুল্লা ,সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির কমিটিও হচ্ছে না।
আরেকটি সুত্র সংবাদচর্চাকে জানিয়েছে, জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে কে থাকবে আর কে বাদ যাবে সেই বিষয়ে কাজ করছে তারেক রহমান। তিনি নেতা বাছাই করছেন। নবীন-প্রবীনের সমন্বয়ে জেলা বিএনপির কমিটি হবে। সাবেক ছাত্রনেতা ও দলের দুঃসময়ে যারা মাঠে আছেন তারাই জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে স্থান পাবেন। সম্মেলনের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি হোক সেটা চাচ্ছে তারেক রহমান। স্থানীয় নেতারা সেটা করতে পারবে কিনা সেটা দেখার অপেক্ষা। এছাড়া নেতাদের দ্বন্দ্বে তিনি ক্ষুব্দ। তিনি (তারেক) জুটি বাছাই করছেন। এমন দুইজনকে সভাপতি,সেক্রেটারী করবেন যাতে দ্বন্দ্ব না হয়। জেলা বিএনপির সভাপতি পদে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক ও বর্তমান সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ¦ নাসির উদ্দিন, সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মনিরুল ইসলাম রবি, বিএনপির সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন,আজহারুল ইসলাম মান্নান। একাধিক সাবেক ছাত্রনেতা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী। সবকিছু নির্ভর করছে জুটির উপর। সভাপতি পদ প্রত্যাশীদের মধ্য থেকেও একজনকে সাধারণ সম্পাদক করা হতে পারে। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েম জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক পদ প্রত্যাশী । তিনি এরআগে রূপগঞ্জ থানা ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন। এদিকে দলে ফিরতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বিএনপি থেকে বহিস্কৃত এড.তৈমূর আলম খন্দকার।
একাধিক নেতা জানান, সব দলেই দ্বন্দ্ব থাকে। আবার সব ঠিক হয়ে যায়। ত্যাগী নেতাকর্মীরাই জেলা বিএনপির কমিটিতে থাকবে। বেইমানদের কমিটিতে রাখা হবে না। জেলার রাজনীতিতে সিদ্ধিরগঞ্জ ও রূপগঞ্জের গুরুত্ব অনেক। শাসক দলও এই দুই থানাকে গুরুত্ব দিয়ে আসছে। জেলা বিএনপির গত কমিটির সভাপতি ছিলেন কাজী মনিরুজ্জামান। তার একাধিক অনুগত এবার আহবায়ক কমিটিতে আছেন। এবার দেখা যাক বিরোধী দল কি করে?